– নুরুল ইসলাম হেলালী

আজ ১১ মে ২০১৯। বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী সালাহ্উদ্দিন আহমদের পঞ্চম মুক্তি দিবস। আজ থেকে ৪ বছর পূর্বে গুম হওয়ার ৬২ দিন পর এই দিনে ভারতের শিলং রাজ্যে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়। সেই থেকে সালাহ্উদ্দিন আহমদ সেখানেই (শিলং) নির্বাসন জীবণযাপন করছেন। ২০১৫ সালের ১১ মে আজকের এই দিনে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে একটি গাড়ী থেকে নামিয়ে দিয়ে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়।

সাবেক মন্ত্রী সালাহ্উদ্দিন আহমদের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই দিন কাকডাকা ভোরে একটি মাইক্রোবাস গাড়ী থেকে, সাদা পোশাকধারী একদল লোক শিলং শহরের গল্ফ লিংক মাঠের পাশে রাস্তার উপর তাঁকে চোখ বাঁধা অবস্থায় নামিয়ে দিয়ে যায়। পরে সাবেক মন্ত্রী সালাহ্উদ্দিন আহমদ চোখের কাপড় খুলে সামনে হেটে লোকালয়ে গিয়ে একটি দোকানের সামনে পাকা বাংকুতে বসে পড়ে। ওই অবস্থায় মর্নিং ওয়ার্ক করতে আসা একজন লোককে তিনি জিজ্ঞেস করে, এটি কোন জায়গা ? সে জানায়, এটি ভারতের মেঘালয়ের শিলং শহর। ওই সময় তিনি তাঁর অবস্থানের খবরটি পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করে এবং পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে শিলং সদর থানায় নিয়ে যায়।

এসময় পুলিশ তাঁর কাছ থেকে শিলং কি ভাবে এসেছেন জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি ৬২ দিন পূর্বে ঢাকা থেকে অপহরণ হয়ে অচেনা একদল লোক আমাকে এখানে ফেলে চলে যায়। এছাড়া আমি আর কিছু জানিনা। এসময় তিনি পুলিশকে আরও জানায় আমি বাংলাদেশের একজন সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ন মহাসচিব এবং আমার নাম সালাহ্উদ্দিন আহমদ।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাবেক মন্ত্রী সালাহ্উদ্দিন আহমদকে পুলিশ হেফাজতে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়ে ‘মিম্হানস হাসপাতালে’ ভর্তি করা হয়। পরদিন স্থানীয় সিভিল হাসপাতাল ও পরে নেগ্রিম্স হাসপাতালে ভর্তি করে।

চিকিৎসা চলাকালিন সময় ভারত সরকার সালাহ্উদ্দিন আহমদ এর বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার আইন (ফরেনার্স এ্যাক্ট ১৪ ধারা) আদালতে একটি মামলা দায়ের করে এবং উক্ত মামলা থেকে তিনি বিগত ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর বেকসুর খালাস পেয়ে দেশে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। খালাসের সাড়ে পাঁচ মাস পর ১২ এপ্রিল ২০১৯ ভারত সরকার উক্ত মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবারও মামলা দায়ের করলে সালাহ্উদ্দিন আহমদের দেশে আসা বিলম্বিত হয়ে পড়ে।

তিনি প্রতিবেদককে জানায়,২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর শুক্রবার বেলা ২-৫০ মিনিটে শিলং নর্থ ইস্ট খাসিয়া হিল জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ডি জি খার শিং তাঁকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষনা করেন এবং একই সাথে আদালত ওই রায়ে উল্লেখ করেছেন, অতি অল্পসময়ের মধ্যে সালাহ্উদ্দিন আহমদকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ভারত সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আদালত শিলং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চিঠি প্রেরণ করলেও তা কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। উক্ত মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার সাড়ে পাঁচ মাস পর সরকার পক্ষ অত্যান্ত গোপনে সালাহ্উদ্দিন আহমদের অজান্তে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে শিলং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (উচ্চ আদালত) মামলা দায়ের করেন এবং ২৭ এপ্রিল ২০১৯ উক্ত মামলার নোটিশ পেয়ে বিগত পহেলা মে উচ্চ আদালতে তিনি প্রথম হাজিরা দিয়েছেন। সালাহ্উদ্দিন আহমদ দৃঢ়ভাবে আল্লাহর উপর বিশ^াস রেখে আশা প্রকাশ করেছেন, এ মামলা থেকেও তিনি খালাস পাবেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী সালাহ্উদ্দিন আহমদ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং এ অবস্থান করছেন আজ দীর্ঘ চার বছর। তিনি বর্তমানে শিলংএ অবস্থানকালে শারিরীকভাবে ভাল আছেন। যদিও চিকিৎসার জন্য দিল্লীতে আসা যাওয়া করেছেন বেশ কয়েকবার। ভারতীয় একটি পাসপোর্ট এ্যাক্ট ১৪ ধারা আইন মামলায় জড়িত হয়ে তিনি ভারতের শিলং এ অবস্থান করছেন এবং তিনি সেখানে মুক্ত অবস্থায় জীবণযাপন করছেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ্উদ্দিন আহমদ ভারতের উচ্চ আদালতে আপিলকৃত মামলায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন, “ইন্শাআল্লাহ” আপিলকৃত উক্ত মামলা থেকেও খালাস পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে আটক পরবর্তী ঘটনার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কাটিং, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার ফুটেছ ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য প্রমানাদি ইতিপূর্বে ভারতের নিশপত্তিকৃত আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন এবং উক্ত উপস্থাপিত প্রমানাদি দেখে বিজ্ঞ বিচারক উক্ত মামলা থেকে তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেছেন। শিলং এ মুক্ত হওয়ার দিন থেকে অদ্যবদি তিনি বরাবরই পুলিশ ও আদালতের কাছে বক্তব্য প্রদান করেছেন যে, তিনি নিজের ইচ্ছায় ভারতে প্রবেশ করেন নাই তাঁকে অচেনা একদল লোকে ভারতে ফেলে রেখে চলে যায় এবং এসময় কাপড় দিয়ে তাঁর চোখ বন্ধ রাখা হয়। তিনি প্রতিবেদককে জানায়, আমি সালাহ্উদ্দিন আহমদ কি ভাবে, কোন সময়, কোন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছি এব্যাপারে সরকার পক্ষ আদালতের কাছে কোন সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারেনি।

শিলং নর্থ ইস্ট খাসিয়া হিল জজ ্ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ডি জি খার শিং দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর সালাহ্উদ্দিন আহমদকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষনা করেন। এসময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী রাজিব নাথ উপস্থিত ছিলেন। সালাহ্উদ্দিন আহমদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মেঘালয়ের সিনিয়র আইনজীবী এস পি মোহন্ত।

সালাহ্উদ্দিন আহমদের আইনজীবী এস পি মোহন্ত জানায়, সরকার ও বাদী পক্ষের দীর্ঘদিন শুনানি শেষে শিলং এর নর্থ ইস্ট খাসিয়া হিল জজ আদালতের বিচারক ডি জি খার শিং ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখেছিলেন। সেই রায় ঘোষনার জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ধায্য করা হয়েছিল। তিনি আরো জানায়, ইতিপূর্বে আদালত রায় ঘোষনার ৫ম বার তারিখ পিছিয়ে ছিলেন এবং ওই দিনই আদালত রায় ঘোষনার সর্বশেষ তারিখ ধার্য্য করেন।

বিগত ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে একদল সাদা পোশাকধারী লোক, আইনশৃংখলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী (যুগ্ন মহাসচিব) কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদকে আটক করে। উল্লেখ্য ২০১৫ সালের শুরু থেকে বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ হরতালের সালাহ্উদ্দিন আহমদের দৃঢ় কন্ঠে প্রতিদিনের কঠোর কর্মসূচী ঘোষনায় সরকার বেকায়দায় পড়ে গেলে, সরকারের বিভিন্ন বাহিনী তাঁকে হন্য হয়ে খুজতে থাকে। সে সময় সালাহ্উদ্দিন আহমদ ছিলেন ৫ যুগ্ন মহাসচিবের একজন, তিনি ওই সময় রাজনৈতিক কঠিন অবস্থায় অজ্ঞাত স্থান থেকে এক মাসেরও বেশী সময় যাবৎ বিএনপির মূখপত্র হিসেবে কর্মসূচী ঘোষনা করে আসছিলেন। এরই মধ্যে হঠাৎ ওইদিন রাতে একদল সাদা পোশাকদারী লোক তাদের আইনশৃংখলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহ্উদ্দিন আহমদকে আটক করে নিয়ে যায়। ওই সময় তারা তাঁকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে গাড়ীতে তোলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে গুম করে রাখে। পরদিন সালাহ্উদ্দিন আহমদ এর খুজে স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট হাসিনা আহমদ উত্তরা থানা ও পরে গুলশান থানায় গেলে পুলিশ সালাহ্উদ্দিন আহমদের আটকের ঘটনাটি অশি^কার করে। এসময় স্ত্রী হাসিনা আহমদ সালাহ্উদ্দিন আহমদের খুঁজে প্রায় দুই মাস যাবৎ ঘুম হারাম করে রাতদিন প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন কিন্তু কোন হদিস মিলছেনা। পরে হাসিনা আহমদ আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয় এবং পরে পুলিশ আদালতের কাছেও সালাহ্উদ্দিন আহমদের আটকের পর গুমের বিষয়টি অশি^কার করে।

এদিকে সাবেক মন্ত্রী সালাহ্উদ্দিন আহমদকে মুক্তি দেয়ার দাবী জানিয়ে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ঢাকা ও কক্সবাজারসহ সারাদেশে হরতাল মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ মানববন্ধনসহ দীর্ঘ দুই মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। এছাড়াও সালাহ্উদ্দিন আহমদের আটক পরবর্তী গুমের সংবাদটি বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা টেলিভিশন ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এমনকি ইউরোপ আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ ও দেশীবিদেশী বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সালাহ্উদ্দিন আহমদকে মুক্তির দাবী করেছিল।

দীর্ঘ ৬২ দিন অজ্ঞাত স্থানে গুম রাখার পর, ওই বছরই ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে একটি গাড়ী থেকে নামিয়ে দিয়ে সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদকে মুক্তি দেয়। ওই দিন কাকডাকা ভোরে শিলং শহরের গল্ফ লিংক মাঠের পাশে সড়কের উপর একটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে তাঁকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ীটি দ্রুত চলে যায়। এ সময় তিনি ওই এলাকার স্থানীয় একজন লোকের মাধ্যমে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে সংবাদ পৌঁছালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদকে চিকিৎসার জন্য শিলং এ অবস্থিত প্রথমে মিম্হানস হাসপাতালে ভর্তি করে, আবার ২ দিন পর স্থানীয় সরকারী সিভিল হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী ১৫ দিন পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্থানীয় সরকারী নেগ্রিমস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ইতিমধ্যে তিনি উক্ত মামলা থেকে জামিন পেয়ে প্রায় এক মাস যাবৎ নেগ্রিমস হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে শিলং পুুলিশ স্থানীয় আদালতে মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ভারতের আদালতে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পারাপার আইনে একটি মামলা দায়ের করে, উক্ত মামলায় তিনি ইতিমধ্যে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। মেঘালয়ের একজন সিনিয়র আইনজীবী এসপি মোহন্ত এ মামলা পরিচালনা করেছেন । বিগত ১৫ সালের ১১ মার্চ ভারতের শিলং এ মুক্ত হওয়ার পর আজ দীর্ঘ চার বছর যাবৎ সাবেক মন্ত্রী সালাহ্উদ্দিন আহমদ ভারতে অবস্থান করছেন। ভারতে অবস্থানকালে সালাহ্উদ্দিন আহমদের কিডনী, ঘাড় ও চর্ম রোগ এর সমস্যা দেখা দিলে তিনি একাধিকবার দিল্লী গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রথমবার দিল্লী গিয়ে ঘাড়ে অস্ত্রোপাচার করেন দ্বিতীয়বার গিয়ে কিডনীতে অস্ত্রোপাচার করেছেন এবং তিনি এখন আপাতত সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন। দিল্লীর হরিয়ানা রাজ্যের মেদান্ত হাসপাতালে তিনি উক্ত চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই রোগের চিকিৎসা নেওয়ার পর, তিনি এখন সুস্থ থাকলেও ঠান্ডাজনিত কারণে মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন কারণ শিলং এ প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ্উদ্দিন আহমদ শিলং এ একটি গেস্ট হাউজে অবস্থান করে থাকেন।

উল্লেখ্য, সালাহ্উদ্দিন আহমদ সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। পরে তিনি চাকুরি ছেড়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া-পেকুয়া সংসদীয় আসন থেকে ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে একই আসন থেকে ২০০১-২০০৬ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সফলতার সহিত যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত ১/১১ সামরিক শাসন আমলে সালাহ্উদ্দিন আহমদ জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমদও চকরিয়া-পেকুয়া আসন থেকে ২০০৯-২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শিলং মেঘালয়ের রাজধানী, শিলং এর কেন্দ্রস্থল পুলিশবাজার থেকে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার দুরে লাবান এলাকায় ওই গেস্ট হাউজ অবস্থিত। উক্ত গেস্ট হাউজটি দেখতে খুবই সুন্দর। এটি নির্মাণে যথেষ্ট নৈপুণ্যতা রয়েছে, উক্ত গেস্ট হাউজে সাতটি রুম রয়েছে। এর মধ্যে একটি রুমেই বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অবস্থান করেন। সাবেক মন্ত্রী সালাহ্উদ্দিন আহমদের স্ত্রী সাবেক এমপি হাসিনা আহমদ ছেলে মেয়েদের সাথে নিয়ে বছরে দু’একবার দেখা করার জন্য শিলং এ যান। এছাড়াও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের নেতাকর্মীও শুভাকাঙ্খীরা সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে দেখা করার জন্য ভারতের শিলং এ গিয়ে থাকেন।

তিনি নামাজ দোয়া, কোরআন হাদিস, পত্র পত্রিকা ও বই পড়ে মেঘালয়ের শিলং এ নির্বাসিত জীবণ কাটাচ্ছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।